মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অভিবাসনকে নিরাপদ এবং নৈতিক করার বিষয়ে দুই দেশ আরও নিবিড়ভাবে কাজ করবে। এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঢাকা ও কুয়ালালামপুর।
বুধবার ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাসচিব নিজ নিজ পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, দুই দেশের তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ব্যবসা, বিনিয়োগ, জ্বালানি, হালাল বাণিজ্য, পর্যটন ও সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, তথ্য ও প্রযুক্তি, শিপিংসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় বৈঠকে উঠে আসে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উভয়পক্ষ উচ্চ পর্যায়ের নিয়মিত সফর বিনিময়ের মাধ্যমে কাজের গতি বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবায়িত করতে সম্মত হয়েছে। একই সঙ্গে উভয়পক্ষ অভিবাসন খরচ কমিয়ে এবং মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করে বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের সুশৃঙ্খল, নিরাপদ এবং নৈতিক অভিবাসন কার্যকর করার জন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা নিয়ে কাজ করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বৈঠকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রশংসা করেছে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল। দুই পক্ষ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য একমত হয়েছে, যাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। বৈঠকে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার বিনিয়োগের আহ্বান জানায়। মালয়েশিয়ার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য মালয়েশিয়াকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আসিয়ান জোটে কুয়ালালামপুরকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেছে ঢাকা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে আসিয়ানের ডায়লগ পার্টনার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতেও মালেয়শিয়ার সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরবর্তী এফওসি পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।